সদস্য হোন

সংবাদের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

― Advertisement ―

spot_img

চালের বাজারে কারসাজি : জড়িতদের দ্রুত শাস্তি কাম্য

চালের বাজারের অস্থিরতা দূর করতে অতীতে অভিযান চালানো হলেও ভোক্তাদের দুর্ভোগ কমেনি। এ প্রেক্ষাপটে বাজার তদারকি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতের বিষয়টি...
হোমসম্পাদকীয়চালের বাজারে কারসাজি : জড়িতদের দ্রুত শাস্তি কাম্য

চালের বাজারে কারসাজি : জড়িতদের দ্রুত শাস্তি কাম্য

চালের বাজারের অস্থিরতা দূর করতে অতীতে অভিযান চালানো হলেও ভোক্তাদের দুর্ভোগ কমেনি। এ প্রেক্ষাপটে বাজার তদারকি সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীদের আঁতাতের বিষয়টি বারবার আলোচনায় এসেছে। সরষের ভেতরের ভূত তাড়ানোর কথা আমরা বহুবার কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।

জানা যায়, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব অবহেলা ও লোভের কারণে চালের বাজার স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। খাদ্য বিভাগের দেওয়া ফুড গ্রেইন লাইসেন্সের শর্ত ব্যবসায়ীরা মানছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব তাদের। দুঃখজনক হলো, তাদের অনেকে সরকারি চাকরি করলেও স্বার্থ সংরক্ষণ করেন অসৎ ব্যবসায়ীদের। বস্তুত চালের বাজারে কারসাজির নেপথ্যে রয়েছে এসব অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ। তাদের এমন অপকর্মে বিব্রত খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। এ অবস্থায় সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে চালের বস্তায় ধান চালের জাত, মূল্যসহ বিভিন্ন তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করে জারি করা পরিপত্র শতভাগ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়ে আছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, শস্যের মজুতদারির সঙ্গে খাদ্য বিভাগের মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা এক ব্যবসায়ীর নামে একাধিক ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ইস্যু করেন। কোন লাইসেন্সের অনুকূলে কোন গুদামে কী পরিমাণ ধান-চাল মজুত রাখা হয়েছে, তা সঠিকভাবে দেখভাল করেন না। নিয়ম মেনে প্রতিটি গুদাম ও মিলের বিপরীতে যে পরিমাণ ধান-চাল মজুত করা হলো, তা সঠিক আছে কি না তাও যাচাই করা হয় না। তাদের সহযোগিতায় ধান ও চালের মজুত করছেন ব্যবসায়ীরা। এসব চিত্র ধরা পড়েছে গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে খাদ্য বিভাগের অভিযানে। খাদ্য বিভাগের মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একটি অংশের বিরুদ্ধে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ভোক্তার স্বার্থ না দেখে অসাধু ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে দেরি করা হলে অন্যরাও অপকর্মে উৎসাহিত হতে পারে। কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, ভরা মৌসুমেও চালের বাজার অস্থির থাকে। বস্তুত চাল নিয়ে ভয়াবহ চালবাজি চলছে বলেই এমন ঘটনা ঘটে। যেহেতু সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে সারা বছর চালের বাজার অস্থির থাকে, সেহেতু এ অপকর্মে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারাই জড়িত থাকুক, সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা দরকার। চালের ভোক্তা সব শ্রেণির মানুষ। কাজেই ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণে যা যা করা দরকার, সবই করতে হবে।