তুরস্কে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৫ বছর মেয়াদে হ্যাটট্রিক করেছেন তুরস্কের এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ। বিজয়ী হয়েই ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এসময় আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট ভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া লাখ লাখ মানুষের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রকৃত বিজয়ী হচ্ছেন সাড়ে ৮ কোটি তুর্কি নাগরিক এবং তুর্কি গণতন্ত্র।
সমর্থকদের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, আমরাই একমাত্র বিজয়ী নই, তুরস্কের বিজয় হয়েছে, আমাদের গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে। আজ কেউ হারেনি, সবাই জিতেছে, দেশের ৮৫ মিলিয়ন মানুষ জিতেছে।
প্রথম দফা ভোটে এগিয়ে থাকলেও ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এরদোয়ান। তাই দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় গতকাল। আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ সূত্র অনুসারে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক ১৬ শতাংশ ভোট। আর প্রধান বিরোধী জোটের প্রার্থী কেমাল কিলিচদারওলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট।
প্রথম দফায় ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য কোনো প্রার্থীই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। আর কেমাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট। এ পরিস্থিতিতে দেশটির নির্বাচন কমিশন ২৮ মে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। সে অনুযায়ী গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। প্রায় ৬ কোটি লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখই প্রথম ভোট দিয়েছেন।
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এর আগে ২০০৩ সালের ১৫ মার্চ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা নিয়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে তুরস্ককে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতে রূপান্তর করেন। সেই থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোয়ান। যদিও বিরোধীদের মতে, একক ক্ষমতা উপভোগ করতেই শাসনব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে এরদোয়ান ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তানবুলের মেয়র ছিলেন।