সদস্য হোন

সংবাদের আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

― Advertisement ―

spot_img

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এবি পার্ট’র বিবৃতি

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু...
হোমজাতীয়বন্ধ হলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন

বন্ধ হলো পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন

সাময়িকভাবে বন্ধ হলো দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। কয়লা সংকটে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। আগামী ২০-২৫ দিন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনা করে এবং ৫০ শতাংশ শেয়ার থাকা চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি কয়লার টাকা দেয়। বিল পরিশোধ করে দেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে সিএমসি।

গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পিডিবি ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বিসিপিসিএল জানায়, ৬ মাসের বেশি বকেয়া থাকায় সিএমসি পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত কয়লা সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিল বকেয়া ছিল ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সময় মতো ডলার ছাড় করতে রাজি না হওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। গত মাসে চীনা বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে বিপদে পড়ে পায়রা। তখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক তৎপর হলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে। ওই বছরের ডিসেম্বরে প্ল্যান্টটির দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করে।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাওয়ার পর এবারই প্রথমবারের মতো কেন্দ্রটি কয়লা সংকটের কারণে বন্ধ করতে হয়েছে।

এদিকে চলমান তাপদাহে সৃষ্ট তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ে নাকাল জনজীবন। এরই মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ লোডশেডিং হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সমগ্র বরিশাল ও খুলনা এবং ঢাকার কিছু অংশের জন্য বিদ্যুতের নির্ভরযোগ্য উৎস।

কমেন্ট করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here